অফিস টাইম শুরুর (সকাল ৮-১০টা) এবং অফিস টাইম শেষের (বিকাল ৪-৫টা) এই সময়ের মধ্যে রাজধানীর রাস্তায় “প্রাইভেট কার” চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। এই সময়টুকুর মধ্যে শুধুমাত্র যাত্রিবাহী বাস সহ অন্যান্য মটর যান নিজ নিজ বিধি মোতাবেক চলতে পারবে। আর যাদের প্রাইভেট কারে করে অফিসে যাতায়ত করতে হয় তারা এই সময়ের আগে কিংবা পড়ে গড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হতে পারবেন। এতে করে রাজধানীতে প্রাইভেট কার নিষিদ্ধ না করেই যানজট সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
উল্লেখ্য যে, সুদীর্ঘ ২ মাসের
নিয়মিত বাস জাতায়তের অভিজ্ঞতা থেকে আমি এই পদ্ধতিটির ধরনা পাই এবং প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে সক্ষম হই। গত ডিসেম্বর মাস পুরটা জুরে যখন হরতাল অবরোধ চলছিল তখন ঢাকার রাস্তায় একমাত্র প্রাইভেট কার বাদে অন্য সকর গড়িই সাভাবিক ভাবে চালাচল করেছিল এবং মানুষও প্রায় নির্ভিগ্নে গন্তব্যে পৌছতে পেরেছিল, হরতাল-অবরোধের মধ্যে জালাও-পড়াওয়ের মতো কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে বাদ দিলে, এমকি প্রাইভেট কারে চরিয়ে লোকেরাও পাবলিক বাসে কিংবা রিক্সায় চরতে অব্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ঐসময় যদি হরতাল-অবরোধ না থেকে শুধুমাত্র পাইভেট কার চলচল বন্ধ থাকতো তাহলে মানুষ নির্ভয়ে এবং আরও সাভাবিক ভাবে তার গন্তব্যের উদ্দ্যেশে যাতায়ত করতে পারতো।
একটা প্রাইভেট কারে মানুষ থাকে ১-২ জন কিন্তু সে রাস্তায় জায়গা দখল করে থাকে একটা পাবলিক বাসের অর্ধেকের সমান যেখানে মানুষ থাকতে পারে ২০-২৫ জনের মতো। এতএব দেখা যাচ্ছে যে একজন প্রাইভেট কার ওনার ২০ সাধারন যাত্রীর সমান রাস্তা দখল করে থাকে। অথচ রাষ্ট্রকে ট্যাক্স প্রদান করার ক্ষেত্রে, ঐ ২০জন ব্যাক্তির কন্ট্রিবিউশনই বেশি। কিন্তু রাষ্ট্রিয় সুবিধা বেশি ভোক করছেন প্রাইভেট কার ওনার। এই ইনজাস্টিস সিস্টেম টাকে জাস্টিসের মধ্যে আন্তে গেলে ঢাকা শহরের জন্য আমার উপরূক্ত পদ্ধতিটি অনুসরনের বিকল্প নেই। যারা রাস্তায় রাষ্ট্রিয় সুবিধা বেশি ভোগ করতে চান তারা ঐদুইটা সময় যাতায়ত থেকে বিরত থাকুন আর এই একই আইন আমাদের চাকার-বাকর মন্ত্রী-এমপি-ভিএইপি দের জন্য বেদ বক্য হিসেবে মান্য করা হোক।
প্রাইভেট কারে বইসা যদি আরাম করতেই হয় তাইলে সময়ের ব্যপারে একটু ছার দিয়ে চলতেই হবে।
[আরও সংযোজন: প্রয়োজনে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় পরির্বতন করে এমন অবস্থায় আনতে পারি যাতে করে, অধিক সংখ্যায় অফিসগামী যাত্রীদের সংঙ্গে তাদের যাতায়তের কনফ্লিক্ট দূর হয়। ]